বুধবার (৯ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর অন্যতম প্রবেশমুখ শাহ আমানত সেতু এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। অথচ সকাল ১০ টার দিকে নো মাস্ক নো এন্ট্রি ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। চসিকের এ ক্যাম্পেইনকে ঘিরে তিনি ওই এলাকায় প্রবেশের আগে-পরের পরিস্থিতি হয়ে উঠে লেজে গোবরে। কিন্তু প্রশাসক সুজন সকাল ১০ টার দিকে ওই এলাকায় প্রবেশের পর প্রায় সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত অতি উৎসাহী ভূমিকায় দেখা গেছে চসিকের দায়িত্বশীলদের।
এদিকে সকাল ৯ টায় শাহ আমানত এলাকায় সরেজমিনে তৎপর দেখা যায় মারুফ নামের এক বিএনসিসি সদস্যকে। ঠিক ওই সময়ে আড্ডায় মশগুল ছিল অন্য আরও ৩ সদস্য। এর একটু পর মুহুর্তে কয়েকটি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরা দেখে সোজা লাইনে দাঁড়িয়ে যান তারা।
অন্যদিকে বাসভর্তি যাত্রী আর শত শত গণপরিবহনের যাত্রীরা নগরে ঢুকেছে মাস্ক পরা ছাড়াই। তবে যাদের আটকানো গেছে তাদেরকে মাস্ক পরতে বাধ্য করতে দেখা গেছে। যারা মাস্ক ছাড়া নগরীতে প্রবেশের চেস্টা করবে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া কথা থাকলেও কাউকে ফিরিয়ে দিতে দেখা যায়নি।
অন্যদিকে রেড ক্রিসেন্টের একটি দল হ্যান্ড মাইকে শাহ আমানত এলাকায় জনসচেতনামূলক প্রচারণা চালিয়েছে। চসিকের দেওয়া ওই প্রচারপত্রে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ৯ দফা ও ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া রোধে ৮ দফা করণীয় উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে হ্যান্ডমাইকে এমন প্রচারণা চালানোর সময় ওই সড়কে দেখা গেছে, সিটি কর্পোরেশনের কয়েকজন সেবক মুখে মাস্ক না পরে সড়ক সাফাইয়ের কাজ করছে। প্রায় সাড়ে ৯ টার দিকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরাসহ নানা নির্দেশনা নিয়ে মাইকিং শুরু করেছিল রেড ক্রিসেন্ট।
সকাল ১০টার দিকে প্রশাসক সুজন শাহ আমানত সেতু এলাকায় আসেন। তখন তিনি বলেন, আমরা ৬০ লাখ মানুষকে বাঁচানোর দায়িত্ব নিয়েছি। মেহেরবানি করে কেউ মাস্ক ছাড়া শহরে প্রবেশ করবেন না। যথানিয়মে নগরের প্রবেশমুখ গুলোতে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। এরপর ১০ টা ২৭ মিনিটে শাহ আমানত এলাকা ত্যাগ করেন তিনি।
প্রশাসক সুজন ওই এলাকা ত্যাগ করার পর চসিকের দায়িত্বশীলদের কাউকে সেখানে দেখা না গেলেও সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করতে দেখা গেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চট্টগ্রামের সিটি ইউনিট ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর’র (বিএনসিসি) কর্ণফুলী রেজিমেন্টের সদস্যদের। মূলত এ ক্যাম্পেইনে চসিককে সহযোগিতা করছে এ দুটি সংগঠন।
এর আগে সোমবার (৭ ডিসেম্বর) চসিকের টাইগারপাস অস্থায়ী অফিসে প্রশাসকের দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ ক্যাম্পেইন পরিচালনার কথা জানানো হয়েছিল। চসিকের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওইদিন বলা হয়েছিল, করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় শাহ আমানত এলাকাসহ ৫টি স্পটে নামানো হচ্ছে বিশেষ দল। মাস্ক ছাড়া নগরীতে কেউ প্রবেশের চেষ্টা করলে তাকে ফিরিয়ে দেবে ওই দল।
কর্পোরেশনের কয়েকজন কর্মী মুখে মাস্ক না পরে করছে সড়ক সাফাই
প্রকাশের সময় :৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ৮:১৮ : অপরাহ্ণ

সিএসপি নিউজ : কেউ কেউ গলায় মাফলারকে মাস্কের মত পেঁচিয়ে ওই এলাকা ত্যাগ করছেন দ্রুত আবার কেউ মাস্ক হাতে রেখে কিংবা থুতনিতে ঝুলিয়ে দিচ্ছেন চম্পট। সামনে থেকে একজনকে মাস্ক কই-এমন প্রশ্ন করতেই মাস্কবিহীন অন্য একজন পালিয়ে যাচ্ছেন পিছন দিয়ে। এমনকি মাস্ক ছাড়া চসিকের পরিছন্ন কর্মীদের দেখা গেল সড়ক সাফাইয়ের কাজ করতে!