রায়হান সিকদার,লোহাগাড়া প্রতিনিধিঃ
মজলিশ খাতুন। বয়স ৫৫ বছর। তার স্বামীর নাম মৃত কবির আহমদ। তার বাড়ী চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের জান মোহাম্মদ পাড়া এলাকায়। বিয়ের ২বছর পর কন্যা সন্তান জন্ম নেয় তার ঘরে । এর কয়েকদিনের মাথায় তার স্বামী মারা যান। এর পরে সে বিধবা হয়ে যায়। আর দ্বিতীয় কোন স্বামী নেয়নি। প্রথম কন্যা দিলু আরা বেগম কে বিয়ের উপযুক্ত হলে দেনা ধার ও বিভিন্নজনের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগীতা নিয়ে বিয়ে দেয় অতি কষ্ঠে। বিধবা মজলিশ খাঁতুনের সহায় সম্বল নেই বললেই চলে। স্বামী ছাড়া তিনি এক কন্যা সন্তানকে নিয়ে অতি কষ্ঠে জীবন যাপন করছিলেন। সহায় সম্বল ছিলনা। ছিল একটি কুড়েঘর। সেখানে বৃষ্টি বাদলের সময় দিন কেটে অতি কষ্টে।
একটি ঘর যেন তার জীবনের জন্য আর্শিবাদ।
বিধবা মজলিশ খাঁতুনের এমন দুর্দশার দিন যাচ্ছিল। তাকে একটি বাড়ি করে দিলে তার হয়ত জীবনে হাসি ফুটবে।
মজলিশ খাঁতুনের ভাঙ্গা বাড়ি দেখতে যান চরম্বা ইউপির ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সোলাইমান এবং জান মোহাম্মদ পাড়া সমাজকল্যাণ কমিটির নেতৃবৃন্দরা।
তারা তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিলেন বিধবা মজলিশ খাঁতুনকে স্বেচ্ছাশ্রমে ছোট একটি সেমি পাকা ঘর করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি।
ইতিমধ্যে বিধবাকে সেমি পাকা ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি সিরাজ সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ সায়েম।
সংগঠনের এক ঝাঁক তরুণ তাকে বিনাশ্রমে ঘর উদ্যোগটিকে স্বাগত জানালেন এলাকাবাসী।
স্হানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, মজলিশ খাঁতুন একজন বিধবা মহিলা। বিয়ের দু` বছরের পরে তার স্বামী মারা যান। এক কন্যা সন্তানকে নিয়ে ভাঙ্গা কুড়েঘরে অতি কষ্টে দিনযাপন করছিলেন। এলাকার সামাজিক সংগঠন জান মুহাম্মদ পাড়া সমাজকল্যাণ কমিটির নেতৃবৃন্দরা একটি ছোট্ট সেমি পাকা ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। কাজও শুরু করে দিয়েছেন। তাও আবার স্বেচ্ছাশ্রমে। তাদের এমন উদ্যোগ সত্যিই অনেক বেশী প্রশংসনীয়।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মোঃ আহসান হাবীব জিতু জানান, বিধবা মজলিশ খাঁতুনকে সামাজিক সংগঠন চরম্বা জান মোহাম্মদ পাড়া সমাজকল্যাণ কমিটির নেতৃবৃন্দরা ঘর করে দেয়ার উদ্যোগ নেয়ার অনেক বেশী প্রশংসনীয়। তারা স্বেচ্ছাশ্রমে ঘর করে দেয়ার উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি। বিধবা মজলিশ খাঁতুনকে ভবিষ্যতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগীতা প্রদানের আশ্বাস দেন তিনি।